সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আবারও পরিকল্পিতভাবে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও পুড়ানোর পর বৃহস্পতিবার ইরাক সরকার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ সময় একজন সুইডশ নাগরিক পবিত্র কোরআনে লাথি মারে ও পুড়ায় এবং ইরাকী পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সূত্র: ফক্স নিউজ

[৩] বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর সুইডেন ফের র্কোআন অবমাননার এ ঘটনা ঘটল। স্টকহোমে বৃহস্পতিবার যে লোকটি কোরআন আবমাননা করে তার নাম সালওয়ান মমিকা বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এপি জানায়, সালওয়ান একজন ইরাকী বংশোদ্ভুত সুইডিশ খ্রিস্টান। সে অবশ্য নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করে থাকে। সে পবিত্র কোরআন পুড়নোর হুমকি দেয়। কিন্তু পুড়াতে পারেনি বলে এপির খবরে দাবি করা হয়। তবে টিঅরটি ওয়ার্ল্ডএর খবরে বলা হয়, সালওয়ান ইরাকী দূতাবাসের সামনে এসে বৃহস্পতিবার পবিত্র কোরআন এবং ইরাকী পতাকা উভয়ই পুড়ায়।

[৪] এ ঘটনার পর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শিয়া আল-সুদানি বাগদাদে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করেন এবং সুইডেন থেকে ইরাকী শার্জ দ্য এফেয়ার্সকে প্রত্যাহার করেন।

[৫] গত মাসে মমিকা বলে পরিচয় দান কারী আরেক ব্যক্তি স্টকহোমের একটি মসজিদের ব্ইারে পবিত্র কোরআন পুড়ায়। সেদিন ছিল মুসলমানদের উৎসবের দিন পবিত্র ঈদুল আজহা। এ ঘটনায় সারা দুনিয়ার মুসলমানরা ব্যাপক নিন্দা জানানো হয় ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

[৬] এরআগে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের স্েঙ্গ বৈঠক করেন এবং একটি বিবৃতি প্রদান করেন আল-সুদানি। এতে তিনি বলেন যে, বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের অগ্নিসংযোগের জন্য দায়ী ব্যক্তিদেরকে বিচার করা হবে এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল কিনা তাও তদন্ত করা হবে। তারও আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি সুইডিশ সরকারকে বলেছিলেন যে, সুইডেনের মাটিতে ফের কোরআন পুড়ানোর কোন ঘটনা ঘটলে সুইডেনের সঙ্গে তার দেশ সম্পর্ক ছিন্ন করবে। সম্পাদনা: সালেহ বিপ্লব